মানুষ স্বাভাবিক আয়ুষ্কাল শেষ হলে মৃত্যুবরণ করে। কিন্তু এ মৃত্যুর পর মৃত্যু তিথি ও বার এর উপর নির্ভর করে কিছু দোষ বা গুণ নির্ভর করে। পঞ্জিকাতে এসব মৃতদোষ আমরা দেখে থাকি। আসলে এসব কি?

এসব হচ্ছে কিছু তিথি, নক্ষত্র ও বারের দোষের কারণে এই নাস্তি, একপাদ, দ্বিপাদ, ত্রিপাদ ও ত্রিপুষ্কর বা চতুর্পাদ দোষ হয়। যখন এরূপ তিথি, বার ও নক্ষত্রের সংযোগ ঘটে তখনই এ মৃতদোষ দেখা যায়।

ভিন্ন ভিন্ন মৃতদোষ এ ভিন্ন ভিন্ন ধরণের কাজ করতে হয়।

একপাদ দোষ হলে অষ্টোত্তর মাত্র তুলসীপত্র দ্বারা শ্রীবিষ্ণুর পূজা, ১০৮ দূর্গানাম ও মধূসূদন নাম জপ ও শিবপূজা ১ টি, শ্রী বিষ্ণুর সহস্রনাম একাবৃত্তি পাঠ।

দ্বিপাদ দোষ হলে অষ্টোত্তর শত তুলসীপত্র দ্বারা শ্রীবিষ্ণুপূজা, ১০০০ দূর্গানাম ও মধূসূদন নাম জপ, শিবপূজা ৪ টি, দেবীমাহাত্ম্যপাঠ একরূপ, যথাশক্তি কাঞ্চানদান।

ত্রিপাদ দোষ হলে অষ্টোত্তরসহস্রসংখ্যক তুলসীপত্রদ্বারা শ্রীবিষ্ণুর পূজা, ১০ হাজার সংখ্যক দূর্গানাম, শ্রী মধূসূদন নাম জপ, শিবপূজা ১২ টি, চন্ডীপাঠ ৩ রূপ, কাঞ্চনদান ৪ আনা ওজনে, শ্রী বিষ্ণুহোম ১০৮ ষোড়শোপচারে শ্রী বিষ্ণু পূজা

ত্রিপুষ্করদোষ হলে অষ্টোত্তরসহস্রসংখ্যক তুলসীপত্রদ্বারা শ্রীবিষ্ণুর পূজা, ১০ হাজার সংখ্যক দূর্গানাম, শ্রী মধূসূদন নাম জপ, শিবপূজা ১২ টি, চন্ডীপাঠ ৩ রূপ, নবগ্রহ হোম প্রত্যেক ২৮, সভোজ্য কাঞ্চনদান ৪ আনা ওজনে, শ্রী বিষ্ণুহোম ১০৮ ষোড়শোপচারে শ্রী বিষ্ণু পূজা

অধুনাকালে এই প্রকার শান্তি অসম্ভব বলে বার, তিথি ও নক্ষত্র দোষ খণ্ডনার্থ ষোড়শোপচারে বিষ্ণুপূজা পূর্বক ১০০৮ তুলসীদান ও ত্রিপুষ্কর দোষ খণ্ডনার্থ ১০ হাজার তুলসীদান কর্তব্য।