Header Ads Widget

মহাভারতের একলব্যের শেষ জীবন কীভাবে কেটেছিল?

  মহাভারতে একলব্যের সম্বন্ধে বিশেষ কিছু পাওয়া যায় না। তবে হরিবংশ পুরাণে তার জীবনের বেশ কিছু কাহিনী বর্ণিত আছে।

হরিবংশ পুরাণ মতে যাদব শ্রেষ্ঠ বসুদেবের 'দেবশ্রবা' নামে এক ভাই ছিলো। এই দেবশ্রবার যখন পুত্র হয় তখন আকাশবাণী হয় "যদু বংশির হাতেই এর মৃত্যু হবে।" এই আকাশবাণী তে ভয় পেয়ে পুত্রের রক্ষা করার জন্য দেবশ্রবা তার পুত্রকে নদী তে ভাসিয়ে দেয়। ভাসতে ভাসতে সেই শিশু মগধ রাজ্যের বনে পৌঁছালো। সেই বনের নিশাদ রাজ 'হিরন্যধনু' তাকে নিজের পুত্র রূপে পালন করেন এবং তার নাম রাখেন 'একলব্য।' একলব্য যদু বংশের মতো মহান বংশের বংশোদ্ভূত হওয়ার কারনে সে এত প্রতিভাবান এবং দুর্ধর্ষ ধনুর্ধর ছিলো।

বহুকাল পরে যখন "ভগবান শ্রীকৃষ্ণ কংস বধ করেন তারপর কংস বধের প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য কংসের শ্বশুর মগধ সম্রাট জরাসন্ধ ১৭ বার মথুরা আক্রমণ করে এবং প্রত্যেক বারই গুরুতর ভাবে পরাজিত হয়।" জরাসন্ধ যখন জানতে পারে যে তার রাজ্যে এরকম একজন মহান ধনুর্ধর আছে তখন সে একলব্য কে তার সেনাপতি নিযুক্ত করে। সেনাপতি হিসেবে নিযুক্ত হওয়ায় পর যুদ্ধে একলব্য যাদব সেনাবাহিনীর একটি বড়ো অংশ ধ্বংস করে দেয়। "তার এই ভীষণ পরাক্রম দেখে স্বয়ং ভগবান শ্রীকৃষ্ণ তার বিরুদ্ধে যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়ে তাকে বীরগতি প্রদান করেন।"

এইভাবে আকাশবাণী সত্য হয় এবং একলব্যের জীবনের সমাপ্তি ঘটে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ